কম খরচে বিদেশে ডাক্তারি পড়ার সুযোগ: ৪টি দেশের তালিকা

 

বর্তমানে অনেক শিক্ষার্থী এমবিবিএস পড়াশোনার জন্য বিদেশে পাড়ি জমাচ্ছেন। তবে খরচের বিষয়টি অনেককে দ্বিধাগ্রস্ত করে। আবার অনেকের মধ্যে একটি ভুল ধারণা রয়েছে যে, বিদেশ থেকে ডাক্তারি পাস করার পর বাংলাদেশে প্র্যাকটিস করার সুযোগ কম। 


এছাড়া, প্রাইভেট মেডিকেল কলেজগুলোতে খরচ অনেক বেশি। তবে আপনি চাইলে কম খরচে বিদেশে ডাক্তারি পড়ার সুযোগ নিতে পারেন। দেশের বাইরে থেকে মেডিকেল ডিগ্রি অর্জন করার পর দেশে এবং বিদেশে ক্যারিয়ার গঠনের ভালো সুযোগ রয়েছে। 


আজ আমরা জানবো স্বল্প খরচে চিকিৎসাবিজ্ঞানে পড়ার সুযোগ পাওয়া যায় এমন দেশগুলো সম্পর্কে:


**১. কাজাখস্তান**  

এখানে চিকিৎসাবিদ্যার পড়াশোনা উন্নত এবং কোর্সগুলো ইংরেজিতে পড়ানো হয়। ক্লাসে শিক্ষার্থীর সংখ্যা কম থাকায় শিক্ষার মান খুব ভালো। এখানে আবেদনের জন্য যোগ্যতা রাশিয়ার মতো।  

- **টিউশন ফি:** বছরে ৩.৫ থেকে ৬ লাখ টাকা।  

- ক্লাসে ইংরেজিতে কথা বলা হলেও ক্লাসের বাইরে রুশ বা কাজাখ ভাষায় যোগাযোগ করতে হবে, তাই একটি ভাষা জানা জরুরি।  


**২. চীন**  

বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য চিকিৎসাবিজ্ঞানে চীন একটি জনপ্রিয় গন্তব্য। এখানে টিউশন ফি অন্যান্য দেশের তুলনায় কম এবং বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তির ব্যবস্থা রয়েছে। এখানে পড়াশোনার মানও অনেক ভালো।  

- **আবেদনের যোগ্যতা:** এসএসসি ও এইচএসসি বিজ্ঞান বিভাগে পাস করতে হবে এবং পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন ও জীববিজ্ঞানে ন্যূনতম ৬০% নম্বর পেতে হবে।  

- **টিউশন ফি:** বছরে ৩.৫ থেকে ৪.৫ লাখ টাকা। মান্দারিন ভাষা জানা জরুরি, কারণ ক্লিনিক্যাল প্র্যাকটিসের জন্য এটি প্রয়োজন।  


**৩. ফিলিপাইন**  

ফিলিপাইনে সব কোর্সই ইংরেজিতে হয়ে থাকে এবং যুক্তরাষ্ট্রের কারিকুলাম অনুসরণ করা হয়। এখানে ইউএসএমএলই পরীক্ষায় পাসের হারও বেশি।  

- **আবেদনের যোগ্যতা:** উচ্চমাধ্যমিকের পর প্রি-মেডিকেল কোর্স সম্পন্ন করতে হবে।  

- **টিউশন ফি:** বছরে ৩.৫ থেকে ৫ লাখ টাকা। প্রি-মেডিকেল কোর্সের কারণে এমবিবিএস করতে অতিরিক্ত সময় লাগতে পারে।  


**৪. রাশিয়া**  

ইউরোপীয় অন্যান্য দেশগুলোর তুলনায় রাশিয়ার টিউশন ফি কম এবং এখানে পড়াশোনার পাশাপাশি গবেষণার জন্যও শিক্ষার্থীদের উৎসাহ দেওয়া হয়।  

- **আবেদনের যোগ্যতা:** পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন ও জীববিজ্ঞানে ন্যূনতম ৫০% নম্বর পেতে হবে।  

- **টিউশন ফি:** বছরে ৪.৫ থেকে ৫ লাখ টাকা। রুশ ভাষা জানা প্রয়োজন এবং আবহাওয়া বেশ কঠোর হতে পারে।  


**জেনে রাখুন:**  

- আপনাকে অবশ্যই কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে এবং ন্যূনতম ৪০ নম্বর পেতে হবে।  

- বিএমডিসি অফিস থেকে বিদেশে পড়ার বৈধ সনদ নিতে হবে।  

- মেডিকেল কলেজ বিএমডিসির অনুমোদিত কি না তা যাচাই করতে হবে।  

- ইউএসএমএলই পরীক্ষায় পাস করতে চাইলে আপনার কলেজটি ডব্লিউএফএমই কর্তৃক অনুমোদিত হতে হবে।  

- বাংলাদেশে ফিরে কোয়ালিফাইং পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে এবং এক বছরের ইন্টার্নশিপ করার সুযোগ মিলবে।  


এভাবে বিদেশ থেকে এমবিবিএস পড়াশোনা করে দেশের হাসপাতাল বা ক্লিনিকে চাকরি করার বা বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ পাবেন।

Post a Comment

0 Comments