যুক্তরাজ্যে স্নাতকোত্তর করুন, সম্পূর্ণ টিউশন ফি প্রদান করা হবে

 

যুক্তরাজ্যে ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি করতে ইচ্ছুক আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য "ব্রিটিশ শেভেনিং স্কলারশিপ" এর আওতায় স্কলারশিপের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। শেভেনিং স্কলারশিপ যুক্তরাজ্যের অন্যতম জনপ্রিয় স্কলারশিপ, যা মেধাবী এবং ভবিষ্যতের নেতৃত্ব দিতে সক্ষম তরুণদের বিনামূল্যে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ করে দেয়।


এই স্কলারশিপের আওতায় শিক্ষার্থীরা যুক্তরাজ্যের নির্দিষ্ট একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে এক বছর মেয়াদি স্নাতকোত্তর ডিগ্রি করার সুযোগ পাবেন। নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা যুক্তরাজ্যের ১৫০টিরও বেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের যেকোনো একটিতে স্নাতকোত্তর করতে পারবেন। বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশের শিক্ষার্থীরাও এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। আবেদনের শেষ তারিখ ৫ নভেম্বর ২০২৪।


### স্কলারশিপ প্রদানের বিবেচনাগুলো:

শেভেনিং স্কলারশিপের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের সামাজিক দক্ষতা, নেতৃত্বদানের অভিজ্ঞতা এবং দেশ ও সমাজে ইতিবাচক প্রভাব ফেলার ক্ষমতাকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়। বৃত্তি শেষে শিক্ষার্থীদের দেশে ফিরে কমপক্ষে দুই বছর কাজের অঙ্গীকার করতে হয়। ১৯৮৩ সালে ফরেন অ্যান্ড কমনওয়েলথ অফিসের অর্থায়নে এই স্কলারশিপের যাত্রা শুরু হয়, এবং প্রতি বছর প্রায় ১৫০০ শিক্ষার্থীকে যুক্তরাজ্যে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ দেওয়া হয়। ১৪৪টি দেশের শিক্ষার্থীরা এই প্রোগ্রামের জন্য আবেদন করতে পারেন।


### সুযোগ-সুবিধা:

শেভেনিং স্কলারশিপ সম্পূর্ণ অর্থায়িত (ফুল ফান্ডেড) স্কলারশিপ, যার অন্তর্ভুক্ত:

- **সম্পূর্ণ টিউশন ফি**।

- **মাসিক ভাতা**।

- **যুক্তরাজ্যে যাতায়াতের ভ্রমণ ব্যয়**।

- **যুক্তরাজ্যে পৌঁছানোর পর এককালীন ভাতা**।

- **ভিসা আবেদন ফি**।

- **শেভেনিং ইভেন্টে অংশগ্রহণের জন্য ভ্রমণ ভাতা**।


### আবেদন যোগ্যতা:

- আবেদনকারীকে **শেভেনিং স্কলারশিপের অন্তর্ভুক্ত দেশের** নাগরিক হতে হবে।

- ডিগ্রি শেষে দেশে ফিরে **দুই বছর কাজ** করার অঙ্গীকার থাকতে হবে।

- আবেদনকারীর অবশ্যই **স্নাতক ডিগ্রি** থাকতে হবে।

- **দুই বছর (২৮০০ ঘণ্টা)** কাজের অভিজ্ঞতা থাকা আবশ্যক।

- **ব্রিটিশ বা ডুয়েল ব্রিটিশ নাগরিকরা** আবেদন করতে পারবেন না।

- আগে যদি **যুক্তরাজ্য সরকারের অর্থায়নে** পড়াশোনা করা হয়ে থাকে, তবে আবেদন করা যাবে না।


### প্রয়োজনীয় নথিপত্র:

- ইংরেজি ভাষায় দুটি **সুপারিশপত্র**।

- **পাসপোর্ট** বা জাতীয় পরিচয়পত্র।

- সর্বশেষ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাপ্ত **ডিগ্রি সনদ**।


আবেদন প্রক্রিয়াঃ- 
অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। বৃত্তির জন্য নির্বাচিত হওয়ার পর যুক্তরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে ভর্তির ‘অফার লেটার’ সংযুক্ত করতে হবে। প্রাথমিকভাবে নির্বাচনের পর মৌখিক পরীক্ষার মুখোমুখি হতে হবে ঢাকার ব্রিটিশ হাইকমিশনে। 

Post a Comment

0 Comments